রাজবাড়ী জেলার নব গঠিত কালুখালী উপজেলা থেকে দক্ষিন পশ্চিম দিকে ২০ কি:মি: দূরে সাওরাইল ইউনিয়নের অন্তর্গত বি-কয়া বাজার সংলগ্ন গড়াই নদীর অদূরে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে বি-কয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবস্থান। এখানে জেলে, কামার, কুমার,চাষী ব্যবসায়ী ও চাকুরী জীবী সহ বিভিন ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কতৃক নির্মিত ২টি পাকা ভবন আছে একটি দ্বিতলা ভবন আছে। এছাড়াও একটি পাকা ভবন বিজ্ঞানাগার ও গ্রন্থাগারের জন্য ব্যবহার হয়।মেয়েদের কমন রুমের জন্য একটি টিনসেট ঘর আছে। এছাড়াও একটি পরিত্যাক্ত পাকা ভবন ও ৩টি আধা পাকা টিনসেট ঘর আছে। একাডেমী ভবন সংলগ্ন পশ্চিম দিকে একটি সুপ্রস্থ খেলার মাঠ আছে। খেলার মাঠ ও আঙিনার চার পাশে বৃক্ষরাজী দ্বারা পরিবেষ্টিত।
চেতনার রঙ্গে রাঙ্গানো বি-কয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেমন করে হলো তার সৃষ্টি এর সত্য আবিস্কারে আমরা ফিরে তাকাই অতীতের প্রেক্ষাপটে। তখন ১৯৫৪ সাল।শিক্ষার অভাবে বি-কয়া সহ এলাকার মানুষ অন্ধকারে নিমজ্জিত আর এই অভাব বোধ কে উপলব্ধি করে এগিয়ে আসেন গুটি কতক নিবেদিত প্রান। এই নিবেদিত প্রান গুলোকে আজ আমরা হারিয়েছি। এই নিবেদিত ব্যাক্তিদের কয়েকজন হলেন মরহুম তেছেম আলী বিশ্বাস, মরহুম শাহদত আলী বিশ্বাস, মরহুম আবুলহোসেন মোল্লা, মরহুম মৌঃ আকবর আলী মোল্লা, মরহুম এতেম আলী মোল্লা, মরহুম মোজাহার আলী বিশ্বাস, মরহুম তাপু বিশ্বাস ও এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তি বর্গ।
প্রথমে বাজেয়াপ্ত কয়া নাম করনের প্রস্তাব হয়। নামটি বড় এবং শ্রুতি মধুর না হওয়ায় এর সংক্ষিপ্ত রুপ বি-কয়া উচ্চ বিদ্যালয় নাম করন করা হয় ।
পূর্ণঃ উদ্দোমে চলতে থাকে লেখাপড়া এর মধ্যে সমস্থ কাগজপত্র প্রস্তুত করে ১৯৫৭ খ্রিঃ বরিশালরেজ্ঞ থেকে বিদ্যালয়ের স¦ীকৃতি পায় তাং ৩০/১১/৫৭ খ্রিঃ। এই দিনটি ছিল বি-কয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য এক স্বর্ণো উজ্জল অধ্যায় ।
পাশের হার: (অভ্যন্তরীন পরীক্ষা)
২০০৭-৮২%, ২০০৮-৯৩%, ২০০৯-৯১.৪৪%,২০১০-৯৩.৬৫%, ২০১১-৯৪.৫৪%।
বিদ্যালয়টি অনেক কৃতি সন্তানের জন্ম দিয়েছে, এবং ভবিষৎ এ আরো অনেক কৃতি সন্তানের জন্ম দিয়ে যাবে।
মো: আকবর আলী০১৭২৫৯৯০৫২৫ বি-কয়া, কালুখালী, রাজবাড়ী।প্রধান শিক্ষক
গ্রামঃ বিশইসাওরাইল, ডাকঘরঃ সাওরাইল,উপজেলাঃ কালুখালী, জেলাঃ রাজবাড়ী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস